আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৩৭

লিখেছেন নীল নিমো

নাস্তিকদের কারনে ডেনমার্কে মেয়েদের ওপর ধর্ষণ, য‍ৌনহয়রানি বেড়েই চলছে। আমি ডেনমার্কের সরকারকে সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে বলেছি, যদি ডেনমার্কে ইসলামি আইন চালু করা হয়, তাহলে সৌদি আরবের মত ডেনমার্কেও ধর্ষণের হার কমে শূন্য হয়ে যাবে।

আমার কথা শুনে ডেনমার্কের সরকার খুবই খুশি। সৌদি আইনের ওপর ইনভেস্টিগেশনের জন্য আমাকে সৌদি আরবে পাঠান হল।


আমি সৌদিতে গিয়ে প্রথমে হাসপাতাল ভিজিট করতে গেলাম। হাসপাতালে গিয়ে তো আমি অবাক। হাসপাতালে হাজার হাজার মেয়ে মানুষ ভর্তি। সবাই ধর্ষণের শিকার। তাদের একজনকে জিজ্ঞাস করলাম:
- সৌদিতে তো ধর্ষণই হয় না, আপনার এই হাল কীভাবে হল?

সৌদি নারী উত্তর দিল:
- আমার বাসায় ঢুকে আমার বাবা-মা এবং ভাইয়ের সামনে একজন ইসলামি আলেম আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। ইসলামের আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সময় চার জন পুরুষ মানুষ কিংবা ৮ জন মেয়ে মানুষ উপস্থিত না থাকলে তা ধর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। তাই আমি ধর্ষিত হয়েও ধর্ষণের শিকার নই। আর এখন যদি আমি ধর্ষণের কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ি, তাহলে যেনার দায়ে আমাকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে।

আমি বলিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ।

সৌদি নারীর কথা শুনে আমি বেশিক্ষণ সৌদি থাকলাম না। বলা যায় না, চারজন পুরুষ মানুষ সাথে না থাকলে কখন কে জোর করে লুতি করে বসে! আমি দোয়া-দুরদ পড়তে পড়তে দ্রুত সৌদি আরব ত্যাগ করলাম।

ডেনমার্কে এসে নিজেকে নিরাপদ মনে করলাম। কারণ নাস্তিকরা সেক্স করার আগে অন্তত অনুমতি চায়। আর মুসলমানরা হঠাৎ করে হান্দায়া দিয়া বসে থাকে। বিসমিল্লাহও পড়ে না, excuse me ও বলে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন