আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১০

ফতোয়ার শিকার


ইছলামী ফতোয়ার (Fatwa, মতভেদে FARTwa) বলি ("বলি" শব্দটি হিন্দুয়ানি, তবে কি "কোরবানি" বলবো?) আরও এক মেয়ে। ঘটনা বাংলাদেশেই।


রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ফতোয়াবাজদের দোররার আঘাতে আহত সুফিয়া বেগম দেড় মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের সুফিয়ার বিয়ে হয় কচুয়া গ্রামের ভিক্ষুক ওমর আলীর সঙ্গে। ওমর আলীর প্রথম স্ত্রীর পুত্র আবদুল হান্নানের সঙ্গে সুফিয়ার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে গ্রাম্য মাতব্বর সাজ্জাত, এনায়েত, আফসার, জেহের, বাক্কার ও ইমাম আলী গত ১২ নভেম্বর সালিশ বসায়। ওই সালিশে গ্রাম্য মসজিদের ইমাম আফসার আলী ফতোয়া জারি করে সুফিয়া ও হান্নানকে ৪০টি করে দোররা মেরে তওবা করানোর ঘোষণা দেন। মাতব্বররা উভয়কে ৪০টি করে বেত্রাঘাত করে। এ সময় সুফিয়া জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। দোররার আঘাতে সুফিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাই তৈমুর রহমানকে খবর দেন চিকিৎসা করানোর জন্য। তৈমুর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে সুফিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পারেননি তার ভাই তৈমুর। তৈমুর জানান, সালিশে মাতব্বরদের বেত্রাঘাতের কারণে সুফিয়ার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে তাকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল হক জানান, নিহত সুফিয়ার ভাই তৈমুর রহমান ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন