আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১

ঈশ্বরের পিন্ডি শয়তানের ঘাড়ে


লিখেছেন লাইট ম্যান 

(পত্রিকার পাতায় মাঝে মাঝে সংবাদ আসে বিশেষ গুষ্টি কর্তৃক শিশু যৌন নির্যাতনের। হাতে নাতে ধরা পড়ার পরে তারা লজ্জাহীন ভাবে বলে শয়তানই তাদের এই কাজটি র্নিলজ্জ ভাবে করতে বাধ্য করেছে। বেচারা শয়তানের উপরে সব দোষ চাপিয়ে তারা নিজেকে এবং একই সাথে ঈশ্বরকেও রক্ষা করতে চায় সব দায় থেকে। বিষয়টা মানবিক দিক থেকে বিচার করলে অমানবিক বৈকি?

শয়তান কি স্বেচ্ছায় কাজটি করে, নাকি ঈশ্বর শয়তান কে বাধ্য করেছে, তা জানতে সকল আদম গুষ্টির নীচের স্বর্গীয় ইতিহাসটুকু জানা অতি আবশ্যক মনে করি। আমি ঘটনাটা জানতে পারি নাম গোপন রাখার শর্তে বলা জনৈক ম্যাসেঞ্জার স্বর্গদেবতা থেকে।)

প্রাতঃ ভ্রমন সেরে বড্ড ক্লান্তি লাগছে শয়তানের (ঈশ্বর আদর করে ডাকে শতু)। কন্ঠনালী শুকিয়ে মরুভূমির বালুর মত খাঁ খাঁ করছে। ঢক ঢক করে প্রায় এক জগ স্বর্গীয় রঙ্গিন পানি সাবাড় করে কিছুটা স্বস্তি বোধ করছে।

স্বর্গে কোনো কাজ নেই। তিন বেলা খাওয়া আর গায়ে হাওয়া লাগিয়ে স্বর্গের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো এটাই নিত্য দিনের রুটিন। হলিডের কোন ব্যবস্থা নাই, নাই কোন নাটক, সিনেমা, টিভির ব্যবস্থা। এভাবে চলছে শত শত বছর।

একঘেয়ে জীবন, কোন বৈচিত্র্য নেই। এভাবে থাকতে থাকতে শতু্র বিষন্নতা রোগে ধরেছে, ডাক্তার বলেছে বেশী দিন এভাবে চলতে থাকলে মস্তিষ্ক বিকার ঘটার সম্ভাবনা প্রবল, তাছাড়া গায়ে চর্বির স্তর জমে মুটিয়ে গেছে অনেক। কিছুদিন আগেও কোমর ছিল ৩২ ইঞ্চি এখন হয়েছে ৩৮। অযাচিত মেদ ভুরি কি করি- এ নিয়েও শতুর দুর্ভাবনা অসীম।

কাপড়কাচা, ঘরদোর পরিষ্কার করা, রান্নাবান্নাসহ ঘরের যাবতীয় কাজ শতুকে একাই করতে হয়। ঈশ্বরকে সে কতবার পই পই করে হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করেছে একটা “শয়তানি”(বউ) বানিয়ে দিতে। কিন্তু ঈশ্বর সর্বদাই ব্যস্ত হাবিজাবি গবেষণা নিয়ে। বউ বানিয়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা যদি না-ই থাকে, তবে দুই পায়ের মাঝখানে বিশেষ উত্তেজক অঙ্গটা বিনা প্রয়োজনে দিতে গেল কেন ঈশ্বর? কামজ্বালা সবার মতো তারও আছে। সেক্স, রোমাঞ্চ করতে তারো তো ইচ্ছা জাগে। হাড়কাঁপানো শীতে বউ ছাড়া থাকার যে কী যন্ত্রণা, সেটা কি সর্বজ্ঞ ঈশ্বর বোঝে না?

ঈশ্বরের উপর শতুর মেজাজ দিনকে দিন বিগড়ে যাচ্ছে। গোপনে খিস্তি আউড়ে নীচু স্বরে গালাগালের বন্যা বইয়ে দিয়ে মেজাজ ঠান্ডা করে মাঝেসাঝে। বয়স তো আর কম হলো না, উপরে মাথার চুল ও নীচে গোপন চুলে পাক ধরেছে অনেক আগেই। কলপই ভরসা এখন, কিন্তু বউ জোটার কোনো লক্ষণ নাই।

এই মহাবিশ্বে ঈশ্বর আসার পরপরই শতু্র সৃষ্টি। অনেকটা ঈশ্বরের সমসাময়িকও বলা যায় শতুকে। বন্ধু বা আপনজন যা-ই বলা হোক না কেন, সুখে-দুঃখে ঈশ্বরের সাথী এই শতুই। তা সত্বেও তার ছোট্ট ইচ্ছাটু্কুর কোন মূল্য দিচ্ছেনা স্বেচ্চাচারী খামখেয়ালী ঈশ্বর।

রাগে কিড়বিড় করতে করতে সে পরিকল্পনা করে বউ আদায়ে স্বর্গের সব দেবতার সাথে নিয়ে গণ-অনশনের ডাক দেবে, প্রয়োজনে স্বর্গের সব কিছু অচল করে দেওয়া হবে। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মোবাইল ফোনের রিং টোনে সেট করা গান বেজে উঠল-“ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়”।

কলার আইডিতে চোখ রাখতেই দেখে ঈশ্বরের ফোন। খুশিতে ধেই ধেই করে ওঠে তার ভগ্ন হৃদয়, নিশ্চয় ঈশ্বর কোন ব্যবস্থা করেছে তার।

"গুডমর্নিং গুরু"- বলার সাথে সাথেই ওপ্রান্ত থেকে নির্দেশ আসে - শতু, তুমি স্বর্গের সব দেবতাদের খবর দাও, আজ বিকেল ৫ টায় আমার দরবার হলে চলে আসতে। তোমাদের জন্য সুসংবাদ আছে।

খুশির প্রলয় নাচনে শতু সবার আগে দরবার হলে গিয়ে সামনের সারির চেয়ারে আসন গ্রহন করে। কিছুক্ষণ পরই আজরাইল, জিব্রাইল সহ বাকি দেবতারা আসতে শুরু করে। সবার চোখে মুখে বউ পাওয়ার আশ্বাস লাভের ঝিলিক। দরবার হল যেন আজ দেবতারণ্য। তিল ধারণের জায়গা নেই কোথাও। সবাই ফিসফিসিয়ে বলাবলি করছে, ঈশ্বরের আজ সুমতি হয়েছে। নিশ্চই সবাইকে আজ বউ দেওয়ার ঘোষণা দেবেন।

এক গাদা ফাইলপত্র নিয়ে সহাস্য বদনে ঈশ্বর দরবার হলে উপস্থিত হন ঠিক বেলা ৫ টায়। ঈশ্বরকে আসতে দেখে সবাই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ করে সম্মান জানাল। ঈশ্বর হাতের ঈশারায় সবাইকে বসতে বলে নিজের সংরক্ষিত আরসে গিয়ে বসলেন। শুরু করলেন বক্তৃতা - আমার প্রিয় স্বর্গবাসী দেবতারা, তোমারা অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছ স্বর্গে তোমাদের করার কোন কাজ-কাম নাই। তোমাদের সময় কাটে না। তোমরা জীবনের বৈচিত্র্য আনতে অনেকে টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইমেইল ও চিঠির মাধ্যমে বউ চেয়ে আবেদন জানিয়েছ। আমার বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সংস্থা “SGB” (স্বর্গের গোপন বাহিনী) আমাকে জানিয়েছে, বউ আদায়ের দাবিতে কেউ কেউ গণ-অনশনের ডাক দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, স্বর্গকে অচল করে দেওয়ার মত কঠোর ঘোষণা আসছে। তাই স্বর্গের শান্তিরক্ষায় আমার পক্ষে নিশ্চুপ থাকা আর সম্ভব হয়নি। তোমরা নিশ্চয়ই জান না, এই নারী জাতি কত ভয়ংকর, কত বহুরূপী। শাস্ত্রে আছে -“স্বয়ং বিধাতা বুঝিতে পারে না নারীর মন”। আমাকে দেখেও কি তোমরা শিক্ষা নিতে পারছ না - কষ্ট হলেও বউ ছাড়া আমি কেন, কীভাবে আছি? তোমাদেরকে বউ দেওয়ার কোন পরিকল্পনা আপাতত আমার নাই। তোমরা মন খারাপ কর না, ঈমান মজবুত রাখ। তোমাদের উপযুক্ত খেলা ও কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখতে এবং একই সাথে নারীজাতির ভয়ংকরতা স্বচক্ষে দেখাতে তোমাদের জন্য আমি একটা নতুন প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছি। এর নাম দেওয়া হয়েছে “আদম প্রোজেক্ট”। এই আদম হবে তোমাদের খেলার গুটি। ইচ্ছে করলে তোমরা তার জান নিতে পার, তাকে ডোবাতে পার, ভাসাতে পার, হাড় গোড় ভেঙ্গে বিকলাঙ্গ করতে পার, পোড়াতে পার, ভাল-মন্দের দোহাই দিয়ে তাকে ইচ্ছামত প্যাঁদাতে পার। মোট কথা, তোমারা যে পদ্ধতিতে খেলে আনন্দ পাও সেভাবে খেলতে পার।

তোমাদেরকে তৈরী করেছি আমি নূর দিয়ে। এই আদম তৈরী হবে মাটি দিয়ে। স্বর্গের সব দেবতা জানে, স্বেচ্ছাচারী ঈশ্বরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বউ না পেয়ে ভীষণ হতাশ হলেও কেউ প্রতিবাদ করে জান খুইয়ে সাহস দেখানোর ঝুঁকি নিল না।

ঈশ্বরের পরামর্শে দরবার হলে সর্বসম্মতিক্রমে শয়তানকে (শতু) প্রধান করে ১১ সদস্যের একটি “মাটি জোগাড়” কমিটি গঠিত হল। অতঃপর ঈশ্বর সেই কমিটিকে নির্দেশ দিলেন যেখান থেকে পার আদম তৈরীর উপযুক্ত মাটি জোগাড় কর।

কমিটি প্রথমে স্বর্গের মাটি নিয়ে এল চটের বস্তা ভরে। ঈশ্বর সেই মাটি পাঠালেন পরীক্ষাগারে। রিপোর্ট এল স্বর্গের মাটিতে বালু ও পাথরের পরিমান বেশী। এই মাটি আদম তৈরীর উপযুক্ত নয়।

অতঃপর কমিটি রওনা দিল মহাবিশ্বের উদ্দেশে।

একে একে বৃহষ্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো সহ সব গ্রহ উপগ্রহ থেকে আনা মাটিও পরীক্ষাগারে আদম তৈরীর উপযুক্ততা খুঁজে পেল না।

মাটির দুশ্চিন্তায় প্রবল উৎকন্ঠায় কয়েক রাত ঘুম হলো না স্বর্গের কারো।

আখেরি চেষ্টা হিসাবে বোরাক যানে করে আনা হল পৃথিরীর মাটি। এই মাটিতে পলির উপস্থিতি থাকায় আদম তৈরীর আদর্শ মাটি বলে সাব্যস্ত হল। আটকে থাকা দম ছাড়তে পেরে বাঁচল সবাই।

কাঁচামাল যোগাড় হওয়ার পর হাতুড়ি, বাটাল, ছুড়ি, কাঁচি, রং, তুলি সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঈশ্বর কয়েকজন জোগালি সাথে নিয়ে লেগে গেলেন আদম তৈরীর কাজে। সূর্যাস্তের আগে আগেই তিনি আদম তৈরীর কাজ শেষ করলেন। আদমের নকশা করলেন নিজের মত করে।

সংঘর্ষ এড়াতে আদমকে নিয়ে খেলার ধরন দেবতাদেরকে পৃথক পৃথক ভাবে বন্টন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজ্ঞ ঈশ্বর।

বয়সে প্রবীন ও বিচক্ষন হওয়ায় শয়তান প্রথমে সুযোগ পেল সে কীভাবে আদম নিয়ে খেলতে চায় তা সবাইকে জানাতে।

শয়তান জানাল- “হে জগৎ সংসারের অধিপতি মহাগুরু আপনি জানেন আমি বৃদ্ধ হতে চলেছি, শরীরে এখন আগের মত বল পাই না। ভেবে দেখেছি, সব আদম সন্তানকে নিয়ে খেলা খুব ঝুঁকিপূর্ণ, লেজে-গোবরে করতে পারি। আমাকে এমন একটি দল, জাতি বা গোষ্ঠি নির্দিষ্ট করে দিন যাদের আমি সম্মানের সাথে সহজেই গুঁতোগুঁতি করতে পারি, তাদের অনুভুতিতে সুড়সুড়ি দিয়ে মজা লুটতে পারি”।

ঈশ্বর কিছুক্ষন নীরব থেকে বললেন- “তোমার ইচ্ছাই তথাস্তু। আদম সন্তানদের মধ্যে আমি কিছু কৃষ্ণ গহ্বর সৃষ্টি করব যাদের মাথার ঘিলু বন্ধ থাকবে কেবলা মার্কা টুপি বা বেড়ি দিয়ে, পরনে থাকবে উদ্ভুত লম্বা পোশাক, পাজামা বা প্যান্ট থাকবে পায়ের গোড়ালির উপর, মুখে থাকবে ছাগু দাড়ি, আমার দেওয়া একটি অঙ্গের হিজাবটা ওরা ছেঁটে ফেলে মুন্ডুটাকে করবে ধারালো। ওদের ভিতর নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে একটু সুড়সুড়ি দিলেই তুমি দেখবে, শিশু, নিজ নারী বা পরনারী দেখলেই ওদের নুনুভুতি কি ভাবে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে। তখন বুঝতে পারবে নারী জাতি আসলেই কত ভয়ংকর। আবার কখনো দেখবে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে দেখেও ওদের অনুভুতি কীভাবে উত্থিত হয়, তখন বুঝবে এই দলটা কত ভয়ংকর”।

ঈশ্বর শতুকে আরো নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন - “খেলারাম খেলে যা-র মত তুমিও ওদের নিয়ে খেলতে থাক। মনে রাখবে, যতদিন আমি বেঁচে আছি, ততদিন তুমিও স্মরিত হবে ওদের মাঝে”।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন