আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

কোরানের ভালু একটা আয়াত ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

লিখেছেন লাদেন ভূত

ছোটবেলায় টিভিতে রাতের ৮ টার খবরের আগে বা আযানের পরে দেখতাম বিটিভির স্ক্রিনে আসত "যে কোনো একজনকে হত্যা করলে সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করলো, যে কাউকে রক্ষা করলো সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করলো। (কোরান ৫:৩২) 

তখন ছোট ছিলাম, মনে করতাম কোরান কত ভাল কথা বলেছে,আল্লাহ মানুষকে সাবধান করে দিয়েছেন যেন কেউ কাউকে হত্যা না করে। তখন আমার শিশু মনে এসবই আসত চিন্তায়। সে যা-ই হোক, এখন মুমিন ভাইদের সাথে তর্ক করলে তারা এ আয়াতটা দেখিয়ে দেন। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, এটা মোহাম্মদ বা তার তৈরি সন্ত্রাসী আল্লাহর শিক্ষা নয় যেহেতু সন্ত্রাসীরা কখনোই এমন শিক্ষা দিতে পারে না। এ কথাটা অর্থাৎ আয়াতের কথাটা ছিল জুডায়িজম (judaism) বা জিউসদের গ্রন্থের। দেখুন: যে একটি আত্মাকে ধংস করে সে যেন পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে, আর যে একটি আত্মাকে রক্ষা করে সে যেন পুরো পৃথিবীকে রক্ষা করে (Jerusalem talmud sanhedrin 4:1) কাউকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা নয়, এ বাণীটা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে শেখায় যে, আমরা যেন মানুষ হত্যা না করি। এ বাণীর কাহিনীটি ছিল abel এবং cain দুই ভাইকে নিয়ে যেখানে মুসলিমরা বলে হাবিল এবং কাবিল। আমরা দেখছি ইহুদিদের বইয়ের বক্তব্য মোহাম্মদ মেরে দিয়েছেন। আমরা কীভাবে মোহাম্মদকে/আল্লাহকে এখানে শ্রদ্ধা করবো। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। ঐ বাণীর উত্‍স talmud. ঐ talmud-কে ঈশ্বরের বই হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। এটা ছিল sanhedrin এর নৈতিকতার শিক্ষার বিবরণী, যা মোহাম্মদ এনে আল্লার বলে চালিয়ে দিয়েছে। আরো সমস্যা, এ বাণী অথবা আয়াতটা আমাদের শেখায় - মানুষ হত্যা করা জঘন্য কাজ।

অথচ কোরান জুড়ে আছে হিংসার বাণী, ঘৃণার বাণী, হত্যার আহ্বান। বস্তুত ভালো আয়াতের চেয়ে জঙ্গিবাদী আয়াত কোরানে অনেক বেশি। কোরানের ভালো আয়াত বনাম অসহিষ্ণু/জঙ্গিবাদী আয়াত নামের ছোট্ট পোস্টটি পড়ে নিন এবং নজর বুলিয়ে নিন এই লিংকে

মোহাম্মদ কিন্তু নিজেই বহু মানুষ হত্যা করে গেছেন। ধর্ষণ-লুটপাট-হত্যা তার ছিল স্বাভাবিক কাজ। এমনকি ইসলাম ত্যাগ করে যে-ব্যক্তি তার জন্য মৃত্যুদণ্ডের কথা বলেছেন মোহাম্মদ (বুখারী: ৪. ৫২. ২৬০) এবং তার সমালোচকেদেরও হত্যা করেছেন শুধু তার বিরুদ্ধে কবিতা লিখায় (বুখারী: ৫৯. ৩৬৯) এবং বলে গেছেন এসব সমালোচকদের হত্যা করার কথা (বুখারী ৩.১০৬) তাছাড়া আরো অনেক সংশ্লিষ্ট হাদিস আছে। যা হোক,আমরা হিটলার, মুসোলিনির কথা জানি, এরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক, এদের ব্যক্তিগত হয়তো কিছু ভালো ব্যাপার থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে আমরা এদেরকে মহামানব কখনোই বলবো না। মোহাম্মদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। তার ব্যক্তিগত দু'-একটা ভাল জিনিস থাকলেই কি আমরা তাকে মহামানব বলব? না। হিটলার-মুহাম্মদ এরা ছিল শয়তানের ত্রিনিটি। পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কিছু বদমাশ তৈরি হয়। যা হোক, আমরা বলতে পারি, এ ভাল কথাটা ইসলামের শিক্ষা নয় বরং ইহুদি-নাসারাদের শিক্ষা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন