আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আসিতেছে ছহীহ বাকস্বাধীনতা

মুছলিমগো আল্যার মনয় এখন ফাল্গুন মাস। ফাল্গুনে বইসা সে বাল গুনে। আর এই কামে সে এতোই মগ্ন যে, কাফেররা তার পেয়ারে নবীরে পোন্দাইয়া নদী বানাইয়া ফালাইলেও সে কুনো ইষ্টেপ নিতেছে না। পেয়ারে নবী আর তার উম্মতগো অসহায় দশা দেইখাও পরম করুণাময়ের দিল ক্যান যে একটুও গলে না! 

দোয়া-মোনাজাত সব ব্যর্থ হইয়া গেলেও যুদ্ধবাজ নবীর উগ্র উম্মতেরা তাই ভাংচুর, আগুন, হত্যা, লুট ও ইত্যাকার ছহীহ ইছলামী আচরণের চর্চা চালাইয়া যাইতেছে সানন্দে। আর তাগো লিডারেরা আল্যার নিষ্ক্রিয়তায় অতিষ্ঠ হইয়া মিটিং-এ বইসা অন্ধকার-যুগোপযোগী এক সিদ্ধান্ত নিয়া ফালাইসে। তাগো সংগঠন 'অর্গানাইজেশন অভ ইছলামিক কোঅপারেশন' (ইছলামিক কোঅপারেশন... হাহাহা! খাড়ান, আগে হাইসা লই। যে ইছলামী দেশগুলান একে অপরের পোঙ্গা মারতে অতি দক্ষ ও সদা তৎপর, তাগো ভিত্রে কোঅপারেশন?!) সেই অধিবেশনে ছহীহ মুছলিমা, জেনাকারিণী ফাকিস্তানী পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিনা রাব্বানীর প্রস্তাবিত বিল পাশ করসে। 

সেইটাতে তামাম দুনিয়া জুইড়া নবীজিরে নিয়া ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ নিষিদ্ধ করা বিষয়ক আইন প্রণয়ণের আহ্বান জানানো হইসে। 

             

হাসি এইখানেই শেষ না। ওই রিপোর্টের একখান বাক্য উদ্ধৃত করি: 'Religion should be taken as a bridge that brings nations together and not as a wall that keeps them at distance.' অর্থাৎ কিনা ধর্মগুলা বিভিন্ন দেশের মাঝখানে দেওয়াল তো তুইলা দেয়ই না, বরং মৈত্রীর সেতু স্থাপন করে! এক্কেরে খাছ বিনুদুন! আচ্ছা, এমুন চাপা মারতে এগো বাধে না? আবে হালারা, পাশাপাশি ইছলামী দুই দেশের ভিত্রেই মৈত্রী নাই, আবার গালভরা কথা! একখান উদাহরণ:


প্রবল ধর্মানুনুভূতিপ্রবণ ঈমানদাঁড় এই আবালচোদারা সহজ একখান কথা বুঝে না: 

তাদের ধর্মান্ধকারময় মস্তিষ্কে এই সরল সত্যটি কিছুতেই প্রবিষ্ট হয় না: এই উদ্যোগের ফল হবে আপাদমস্তক উল্টো - ধর্মপচানি ও নবীপোন্দন শুধু বহালই থাকবে না, আরও জোরদার হবে। তাদের ধর্মানুনুভূতি তারা ধুয়ে খেতে পারে। নয়তো রাখতে পারে ডিপ ফ্রিজে। নইলে তারা যতো ফাল পাড়বে, পচানির তীব্রতা হবে ততো বেশি।

আসলে সাম্প্রতিক কিছুদিনের ইতিহাস থেকে কোনও শিক্ষাই তারা নেয়নি।

পুনশ্চ. বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইছলাম নিরলস। এবার তাদের শান্তির পরশ পেয়েছে কক্সবাজারের বৌদ্ধরা। শান্তিকামী মুছলিমদের দল বৌদ্ধদের বসতিতে শান্তিপূর্ণ অগ্নিসংযোগ, শান্তিমণ্ডিত হামলা, শান্তিময় ভাংচুর ও শান্তির নামে লুটপাট করেছে। মাত্র ছ'টি বৌদ্ধ মন্দির ও কুড়িটি বাড়িতে শান্তির আগুন জ্বালানো হয়েছে। 

জানা কথা, পাঁড় সুবিধাবাদীর দল, যারা তথাকথিত মডারেট মুসলিম হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়, তাদের অধিকাংশেই নীরব থাকবে, কয়েকজন মিনমিন করে বলবে, 'ইহা ছহীহ ইছলাম নহে।' 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন