লিখেছেন কবীর উদ্দীন
২৪৬.
- কয়েকজন অজ্ঞাতকুলশীলের নাম বলো।
- কয়েকজন অজ্ঞাতকুলশীল হচ্ছেন - ঈশ্বর, আল্লাহ, ভগবান, জাভে, জিহোভা, মনু প্রমুখ। এরা অজ্ঞাতকুলশীল, কারণ এদের জন্ম কবে, কোথায় এবং কোন পরিবারে হয়েছে, তা কেউই জানে না। এমনকি এরা নিজেরাও না।
২৪৭.
তখনকার দিনে দুনিয়ার মানুষ কেবল একটি ভাষায় কথা বলত এবং তাদের শব্দগুলিও ছিল একই। পরে তারা পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে যেতে ব্যাবিলিন দেশে একটা সমভূমি পেয়ে সেখানেই বাস করতে লাগল। তারা একে অন্যকে বললো, চল আমরা ইট তৈরি করে আগুনে পুড়িয়ে নেই। এই বলে তারা পাথরের বদলে ইট ও চুন-সুরকির বদলে আলকাতরা ব্যবহার করতে লাগল। তারা বলল, এস আমরা নিজেদের জন্য একটা শহর তৈরি করি ও এমন এক উঁচু ঘর তৈরি করি যার চূড়া গিয়ে আকাশে ঠেকবে। এতে আমাদের সুনামও হবে আর আমরা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েও পড়ব না। মানুষের তৈরি উঁচু ঘর ও শহর দেখতে মাবুদ নিচে নেমে আসলেন। তিনি বলেছিলেন, এরা একই জাতির লোক, এদের ভাষাও একই; সেজন্য এই কাজে এরা হাত দিয়েছে। নিজেদের মতলব হাসিলের জন্য এর পর এরা আর কোন বাধাই মানবে না। কাজেই আমি তাদের ভাষায় গোলমাল বাধিয়ে দেবো যাতে তারা একে অন্যের ভাষা বুঝতে না পারে। (তৌরাত শরিফ পয়দাদেশ ১১,১-৭)
তার মানে মাবুদ চান না যে, মানুষের মাঝে একতা থাকুক, সেই জন্যই তিনি বিভিন্ন ভাষার সৃষ্টি করেছেন!
২৪৮.
চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেছে খেজুরতলায় কে?
উট নাচছে, দুম্বা নাচছে বিশ্বনবীর বে।
২৪৯.
যারা বাংলাদেশে জন্মে বাংলাদেশের জলহাওয়ায় বড় হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে, তাদের চেয়ে কুলাঙ্গার আর কে আছে? বাংলাদেশে এক মুহূর্ত বাস করারও অধিকার তাদের নেই।
২৫০.
- গভীর জলের মাছ ও পরমহংস'র ছহীহ আরবি অনুবাদ করো এবং বাক্য রচনা করো।
- গভীর জলের মাছের ছহীহ আরবি অনুবাদ হবে, 'গভীর বালির উট' আর পরমহংসের ছহীহ আরবি-অনুবাদ হবে 'পরমদুম্বা।'
শ্রীরাম কৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন গভীর জলের হাঁস (মাছ), আর নবীজি ছিলেন গভীর বালির উট এবং পরমদুম্বা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন