আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

ডারউইনের বুলডগ

লিখেছেন অ্যাডমিনযুক্তি

চার্লস ডারউইনের সুহৃদ টমাহ হেনরি হাক্সলি। যাকে অনেকে একসময় ঠাট্টা করে ডারউইনের বুলডগ বলে সম্বোধন করতো। কারণ ডারউইনের সময়কালে বিবর্তনকে জনপ্রিয় করতে এবং মানুষের জনচেতনায় বিবর্তনকে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন টি এইচ হাক্সলি।

লোকমুখে শোনা যায় যে ডা্রউইনের 'অরিজিন অব স্পিসিজ' বইটি প্রকাশের পরের বছর, ১৮৬০ ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে একটি জমজমাট বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। একে বর্তমানে 'অক্সফোর্ড বিতর্ক' বলে থাকেন অনেকে। ডারউইনের দাওয়াত থাকলেও তিনি এই বিতর্কে অংশ নেননি। ডারউইনের বদলে হাজির হন টমাস হাক্সলি। আর বিপরীত পক্ষে উপস্থিত হন চার্চ অব ইংল্যান্ডের বিশপ স্যামুয়েল উইলবারফোর্স। বিতর্ক চলাকালীন উইলবারফোর্স হাক্সলিকে কুপোকাত করার জন্য নানাভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন। তিনি ডারউইনের বিবর্তনীয় অনুসিদ্ধান্ত সমর্থন করার কারণে হাক্সলিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। স্ল্যাং করে বলেছিলেন, হাক্সলির মা না বাবা কোন পক্ষের লোকজন বানর থেকে উদ্ভূত হয়েছে, জানতে পারি কি?

জবাবে হাক্সলি খুবই ঠাণ্ডা স্বরে বলেছিলেন:
He was not ashamed to have a monkey for his ancestor; but he would be ashamed to be connected with a man who used great gifts to obscure the truth.
বাংলায় সুন্দর করে বললে এর মানে দাঁড়ায়:
যে ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও বাগ্নিতাকে অন্ধ কুসংস্কার ও মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে, তার উত্তরসূরী না হয়ে আমি বরং সেইসব নিরীহ প্রাণীদের উত্তরসূরী হতে চাইবো, যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়।
হাক্সলির বক্তব্যে সাথে সাথে গোটা হলরুম জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। চিৎকার আর চেঁচামেচিতে ভরে যায়। একজন মহিলা এ সময় চিৎকার করে বলে ওঠেন, "হায় ঈশ্বর! দয়া কর প্রভু! ডারউইনের বক্তব্য (মানুষের উৎপক্তি সংক্রান্ত) যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়! আর যদি কখনো সত্যি হয়, তবে দয়া করে এমন ব্যবস্থা করো, মানুষ যেন এই তথ্য কখনো জানতে না পারে!"

আজকের যুগে এসে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সেই নাম না-জানা ভদ্রমহিলার প্রার্থনা ঈশ্বর শোনেননি! ঈশ্বর অনেক নিষ্ঠুর! তিনি তার ভক্তদের প্রার্থনাও শুনতে পান না বা রাখতে পারেন না। মনে হয়, তার সেই ক্ষমতা আজ আর নেই। তথাপি বলতে পারি, অনেক চেষ্টা হয়েছিল, অনেক চোখ রাঙানো হয়েছিল, অনেক বিকৃতি ঘটানো চেষ্টা হয়েছে জীববিবর্তনকে নিয়ে। কিন্তু ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্বকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। এটা এখন সূর্যের আলোর মতোই দীপ্তোজ্জ্বল বিজ্ঞানের প্রমাণিত তত্ত্ব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন