আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নারীর স্বাধিনতা ও বাছি নেয়ার অধিকার

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

ইসলামের নারীকে সমান অধিকার দিয়েসে, দিয়েসে স্বাধিনতা, দিয়েসে নিজ পছন্দে কোনো কিছু বাছি নেয়ার অধিকার।

কিন্তুক সেটা কেমন তা আমাদিগকে বুঝতে হবে।

আর সেটা বুইজতে হলে আমাদিগকে chastity belt পিন্দা বা পিন্দানি জানতে হবে। ছবিতে এই বেল্টটি দেকতে ফাচ্ছেন।

ছবিতে বিভিন্ন রকমের chastity belt আছে। বিভিন্ন ডিজাইনের, বিভিন্ন দামের।

কিন্তুক, তারও আগে মানবদেহের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আলোসনা করা ফ্রয়োজন। তবে সোলুন ফাঠক, আমাগের চুক্ষুকে কিসুক্ষনের জন্য একটা মানবী দেহের উফর নিবদ্ধ রাখি...

মানব দেহে বর্জ্য নিষ্কাশনে কিছু ছিদ্র থাকে। খাদ্য গ্রহনের জন্যও থাকে ছিদ্র। যেমন, চোখের ছিদ্র, নাকের ছিদ্র, কানের ছিদ্র, মুখের ছিদ্র, মলদ্বারের ছিদ্র, প্রস্রাবের ছিদ্র, বীজ উৎপাদনের ছিদ্র।

এত এত ছিদ্রের ভেতর এমনো ছিদ্র আছে, যে ছিদ্র সংরক্ষনাবেক্ষনের জন্য আমরা আইন তৈরি করি। এই ছিদ্রটাকে আমরা আমরা এমুন এক ফর্যায়ে নিয়ে গেছি যে, ছিদ্রটির কারনে আমাদের ভেতর একটা আবেগ কাজ করে। সে আবেগের নাম “হিংসা”; আরও যে আবেগ কাজ করে, তার নাম ‘ভালোবাসা’।

এই ছিদ্রটাতে কোনো জড় বস্তু প্রবেশ করলে এটি তার সতীত্ব হারায় না। আমাদের মতে, এটি তখনই পাপী হয়ে যায় এবং অনেক বড়ো অপরাধী হয়ে যায়, যখন এই ছিদ্রটিতে অন্য মানুষের শরীরের আরেকটি অঙ্গ প্রবেশ করানি হয়।

নাক টানাটানিতে বা নাক ঝাড়াঝাড়িতে আমাগের নাক দিয়া 'হিঙ্গিল' বাহির হয়। ঠিক একই রকম বীজ উৎপাদনকারি ছিদ্রটিও ঘর্ষনে ঘর্ষনে তরল পদার্থ নির্গত করে। কিন্তুক মজার বিষয় হইসে, ছিদ্রের তারতম্যের কারনে ‘নাসিকা’ দিয়ে কুনো জড়ো বা জীবন্ত দন্ড প্রবেশ করালে ‘যেনা’ সংক্রান্ত মামলায় ফড়তে হয় না। অথচ ‘যেনা’ সংক্রান্ত ব্যাপারে পৃথিবী তোলফাড় হই যায়, যখন ‘হিংসা’ ও ‘ভালোবাসা’র ছিদ্রটিতে অনুপ্রবেশ ঘটে।

আলোচ্য ভালোবাসা/ঘৃনা/হিংসা জড়ানো ছিদ্রটার কারনে কোনো কোনো পুরুষ হয় সন্দেহবাতিকগ্রস্থ। এই পুরুষটি নারীকে ‘মানব রচিত’ সতীত্ব হারানোর বিপদ থেকে বাঁচানোর ভুমিকা নেয় এবং সে ভূমিকা নিতে গিয়ে সে ঐ নারীটিকে পছন্দ করার অধিকার দান করে। জ্বী, দান করে!

এই সন্দেহবাতিকগ্রস্থ পুরুষটি বিভিন্ন ডিজাইনের, বিভিন্ন দামের chastity belt সংগ্রহ করে। এবং তার নারীকে এসব chastity belt থেকে একটা পছন্দ করে নিতে বলে। নারীটি তার যৌনাঙ্গ অবরুদ্ধ করি রাখার বস্তুটি নিজের পছন্দ মতন বাছি নেয়।

তার এই বেছে নেয়ার মধ্য দিয়া সে স্বাধিনতা লাভ করে। অর্জিত স্বাধিনতায় choose করে নেয়ার সুযোগ পায়। chastity belt পছন্দ করে নেয়ার মধ্য দিয়ে এই নারীটি যেমন করে মর্যাদা লাভ করে, তেমন করেই শুদু ইসলাম না পুরুষতান্ত্রিক সমস্ত ধর্মগুলিতে নারীরা সম্মান পায়। তেমন ধারায় তারা অধিকার লাভ করে।

বা বলা যেতে পারে যে, 

চিড়িয়াখানার পশুটিকে যেমন করি খাঁচা তৈয়ার করে দেয়া হয় এবং পরবর্তিতে পশুটি খাঁচাতে স্বাধিনভাবে ঘুরাফেরা করে, তেমন নারীকেও ‘ইসলাম’ একটি খাঁচা তৈয়ার করি দেয়। আর খাঁচার ভেতর সে তার জগৎ নিবদ্ধ করি রাখে। খাঁচার ভেতরই তার সম্পূর্ণ স্বাধিনতা, অধিকার, মর্যাদা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন