আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ধর্ম কখনো আনেনি আলো

লিখেছেন অপ্রিয় ভাষ্য

"ধর্ম একদা অন্ধকারে এনেছিল আলো" - আমি কবি রুদ্র'র এই লাইনটির সাথে কোনোভাবেই একমত হতে পারছি না। আমার মতে, ধর্ম কোনোকালেই আলো আনেনি। ধর্ম বারবার অন্ধকারকে যুক্ত করেছে। ধর্ম মানুষকে অন্ধ আর মুর্খ থাকার শিক্ষা দিয়েছে। ধর্ম ঈশ্বরকে কোনো যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে বলে মানুষের আত্মমুক্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্ম মানুষের চিন্তাধারাকে এক জায়গায় থামিয়ে দিয়েছে।

তখনকার আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ থেকে মহম্মদের ইসলাম কি বেশি আধুনিক? তখনকার আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে খাদিজারা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করত। ৪০ বছরের বিধবা খাদিজা ব্যবসার স্বার্থে ২৫ বছরের তরুন মহম্মদের চাকর রাখত। এবং পরে স্বেচ্ছায় সেই চাকরকে বিয়ে করার অধিকার রাখতো। ইসলামের যুগে এসে তা ভাবা যেত ? ইসলাম এসে কী করল? নারীর স্বাধীনতাকে অচল করে দিল, তাদের পায়ে শেকল দিল, বোরকা পরিয়ে মেয়েদের বস্তাবন্দী করল, নারীকে শষ্যক্ষেত (নারীরা হইলো শষ্যক্ষেত, তোমরা যেমন খুশি তেমন চাষ কর) উপাধি দিয়ে তাদের যৌনদাসী বানিয়ে দিল! এক অলীক জান্নাত, ৭২ হুরী আর অফুরন্ত সরাবের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে মুমিনদের একেকটা জানোয়ার বানিয়ে দিল। তারা এখন ঐ কল্পিত বেশ্যা আর সরাবের লোভে বিধর্মীদের জবাই আর ধর্ষণ করে চলেছে। কখনো কখনো বোমা হামলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে চলেছে। তো এখানে ধর্ম কোনদিক দিয়ে আলো দিল?

"সতীদাহ" এক সময় হিন্দুদের ধর্মীয় প্রথা ছিল। ধর্মের প্রয়োজনেই স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর সাথে জলন্ত চিতায় ঊঠে আত্মাহুতি দিতে হত। যাতে স্ত্রীর সতীত্ব রক্ষা হয়। এতে নাকি ধর্মের ইজ্জত বাঁচে! তো প্রথাটি কি কোন ধর্মযাজক উঠিয়েছিল?

ধর্ম তো দেখছি যুগে যুগে পুরুষের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে। পুরুষকে প্রভু বানিয়ে বারবার উঁচুতে তোলা হয়েছে। নারীর স্বার্থে ধর্ম আদৌ সৃষ্টি হয়েছে কি? 
পতি সেবা করে সতী,
এছাড়া নাই গতি।
স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত।.....
এরকম আরো অনেক ধর্মীয় বাণী আছে পুরুষের পক্ষে। কই, আজ অব্দি কোন ধর্মীয় যাজক তো বলেনি - স্ত্রীর পায়ের নিচে স্বামীর বেহেস্ত? তো যে-ধর্মগুলো আজ পর্যন্ত নারী-পুরুষের সমতার শিক্ষা দেয়নি, সে ধর্মগুলো কখন কীভাবে আলো দিয়েছিল? ধর্ম কি বারবার মানবসভ্যতাকে পেছন দিকে টানেনি? মানুষগুলোকে স্ব স্ব ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি জানানোর শিক্ষা দেয়নি? মানুষকে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান বানিয়ে বিভক্ত করেনি? তো করলে ধর্ম অন্ধকারে কখন আলো এনেছিল? ধর্ম তো জম্মই হয়েছে অন্ধকারকে সঙ্গী করে, সে আবার আলো দেবে কী করে? 

অকালপ্রয়াত প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আমি 'অপ্রিয় ভাষ্য' বলছি: ধর্ম কোনো কালেই অন্ধকারে আলো দেয়নি, ধর্ম আলোর মাঝে বার বার অন্ধকার নিয়ে এসেছিল। মানবসভ্যতাকে পেছনের দিকে টেনেছিল। "ধর্ম একদা অন্ধকারে এনেছিল আলো," ২৫ বছর আগের আপনার কবিতার এই লাইনটি বা ধারনাটি ভুল ছিল। আসলে ধর্ম কোনোকালেই আলো আনেনি, এটা ভুল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন