আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

ইছলামী-শিশ্নলেহনোন্মুখ বাংলাদেশী মিডিয়া

অনলাইনভিত্তিক বাংলা পত্রিকাগুলোয় প্রচারিত খবরের ওপরে নির্ভর করা তো যায়ই না, এমনকি দেশের প্রধান ও প্রতিষ্ঠিত পত্রিকাগুলোর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

মদিনা সনদে পরিচালিত যে-দেশ, সে দেশের মুছলিমমণ্ডিত মিডিয়ার ইছলামের প্রতি প্রবল পক্ষপাতিত্ব থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর তাই ইছলামী ইতরামিগুলোকে যথাসম্ভব মোলায়েমভাবে প্রকাশ করা, জঙ্গি আয়াত কণ্টকিত কোরানকে ভিত্তিহীনভাবে শান্তিপূর্ণ বলে প্রচার করা, ইছলামের নবীর বাস্তব বর্বরতাগুলো গোপন রেখে মনগড়া মানবিক কাহিনী তার ওপরে আরোপ করে তাকে মহিমান্বিত প্রমাণ করার প্রবণতা স্বদেশী মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যে। তবে তাদের সাম্প্রতিকতম আচরণটি বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।

মতিকণ্ঠ জাতীয় এক বিদেশী সাইটে প্রচারিত একটি ট্রল-নিউজে বলা হয়েছিল: "ইউনেস্কো ইছলামকে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।" স্যাটায়ার ও সারকাজম সবাই বুঝতে পারে না। পারেনি ইছলামী-শিশ্নলেহনোন্মুখ বাংলাদেশী মিডিয়াও। এমনকি বিশ্বব্যাপী অপ্রতিরোধ্য ইছলামী ইতরামির যুগে জাতিসংঘের অঙ্গ-সংগঠনের এমন একটি বাস্তবতা-বিপ্রতীপ "ঘোষণা" তাদের মনে কোনও সংশয়ও জাগায়নি। স্রেফ ইছলামের জন্য সম্মানজনক ছিলো বলে বাংলাদেশের প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও যুগান্তরের মতো বাঘা-বাঘা পত্রিকাগুলোও তাদের সাইটে ভুয়া সেই সংবাদটি প্রকাশ করে। 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম তাহলে "বাঁশের কেল্লা"-কেই আদর্শ মানছে! বাংলাস্তানের আরেক আদর্শ ফাকিস্তানও কম যায় না অবশ্য। রেডিও পাকিস্তানের সাইটে এই খবরটি জ্যান্ত ছিলো এই পোস্টটি ড্রাফট করার সময়ও। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখা হয়েছে। 

খবরটি অনলাইনে এতোটাই ভাইরাল হয় যে, ইউনেস্কো তাদের অফিসিয়াল সাইটে জানাতে বাধ্য হয়, এমন কোনও ঘোষণা তারা কখনও দেয়নি।

নিচের ৬ টি স্ক্রিনশট পাঠিয়েছেন ছাগলনাইয়ার বনলতা সেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন