আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১০

আমাদের আত্মীয়েরা – ০৯


জেইন গুডল তাঁর নাম। ১৯৬০ সালে তাঁর বয়স যখন সবে ২৬, তিনি চলে গেলেন নিজের দেশে ইংল্যান্ড ছেড়ে তানজানিয়ায়। লক্ষ্য - শিম্পাঞ্জিদের কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা। যাদের ডিএনএ-র সঙ্গে মানুষের ডিএনএ-র ৯৮ শতাংশ মিল, তারা কতোটা আমাদের নিকটাত্মীয়, সেটা যাচাই করাটাই জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন। বেছে নিলেন আফ্রিকার জঙ্গলের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ। একটি শিম্পাঞ্জি পরিবার ভারি পছন্দ হলো তাঁর। প্রত্যেক সদস্যের আলাদা আলাদা নাম দিলেন। বন্ধুত্বও হলো তাদের সাথে। সেই পরিবারটিকে তিনি পর্যবেক্ষণ করে আসছেন ৫০ বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে পরিবারটির তিন প্রজন্মকে তিনি দেখেছেন। 

কোনওরকম বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণহীন এই মহিয়সী নারী বদলে দিয়েছেন শিম্পাঞ্জি সম্পর্কে প্রচলিত অনেক ধারণা। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর ভেতরে একমাত্র মানুষই হাতিয়ার তৈরি ও ব্যবহার করতে সক্ষম বলে মনে করা হতো। এই দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন তিনি। তিনিই দেখিয়েছেন, শিম্পাঞ্জিরাও মানুষের মতো আবেগপ্রবণ, তাদের অনুভূতি প্রকাশের ধরনটিও অত্যন্ত মানবীয়, তাদের আছে আনন্দ-বেদনার অনুভূতি, আছে তার প্রকাশ, মানুষেরা যেভাবে হাত ধরে একে অপরের, আলিঙ্গন করে, চুমু খায়, ঢিল ছোঁড়ে, তারাও সেসব করে ঠিক মানুষের জন্যও প্রযোজ্য মুহূর্তগুলোতেই। মানুষের মতো তাদেরও আছে একটি অন্ধকার দিক: তারাও হিংস্র হতে পারে, হত্যা করতে পারে নিজ প্রজাতির প্রতিনিধিকে। 

জেইন গুডলকে নিয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওর নিচে একটি মন্তব্য বড়োই মনে ধরলো। আদম-হাওয়া সম্পর্কিত কু-রূপকথায় বিশ্বাসীদের উদ্দেশে লেখা হয়েছে: If you can't recognize yourself in these things there is no hope for you. 

তিনটি ছোট ছোট ভিডিও (সর্বমোট ২৯ মিনিট) এমবেড করলাম। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে অন্তত একটি ভিডিও দেখবে না, তাকে "আদম-হাওয়া ফ্যান ক্লাব"-এর সম্মানজনক আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হবে  


ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা ৫০ বছর ধরে সহযোগিতার সম্পর্ক রেখেছে জেইন গুডলের সাথে। গত অক্টোবর সংখ্যায় এই সম্পর্ক উদযাপনী একটি নিবন্ধও আছে। দেখুন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর রেট্রোস্পেকটিভ ভিডিও।


একটি সৌখিন ভিডিও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন